রোপা-আমন ধান ঘরে তোলার সাথে সাথেই শুরু হয়েছে ইরি-বোরো আবাদের জন্য বীজতলা তৈরির কাজ। লালমনিরহাটের কৃষকরা ইরি-বোরো ধানের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
জানা গেছে, আগত চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলা ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভায় ইরি-বোরো ধানের আবাদের জন্য নানা জাতের ধান বীজতলা তৈরি করা হয়েছে।
এ বছর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর প্লটের মাধ্যমে কমিউনিটি (আদর্শ) বীজতলা তৈরির কাজ শুরু করেছে। আদর্শ বীজতলা তৈরির জন্য কয়েক বছর ধরে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এতে লাভবান হওয়ায় এ বছর নিজ থেকেই আদর্শ বীজতলা তৈরিতে কৃষকরা ঝুঁকছেন। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে লালমনিরহাট জেলার সব বীজতলা কমিউনিটি (আদর্শ) পদ্ধতিতে করা হবে বলে আশা করছে লালমনিরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। তাতে একদিকে কৃষকরা যেমন লাভবান হবেন, অন্যদিকে কৃষি অর্থনীতি আরও সচল হবে বলে মনে করছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
ফুলগাছ ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শহীদুল ইসলাম খন্দকার বলেন, কৃষকরা আগেভাগেই বীজতলা তৈরি করেছেন। ইরি-বোরো ধানের চারাগুলো এখন রোপন যোগ্য হচ্ছে। আর কিছু দিন পরই ইরি-বোরো চারা রোপন করবেন কৃষকরা।
কোদালখাতা গ্রামের কমল কান্তি বর্মণ বলেন, এখনও ইরি-বোরো ধানের চারাগুলো বড় হয়নি। তাই একটু অপেক্ষা করছি ধানের চারা রোপনের জন্য।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ হামিদুর রহমান বলেন, ইরি-বোরো আবাদের উপযোগী সব জমিকে চাষের আওতায় আনতে জমির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করে, কৃষি পণ্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ, প্রশিক্ষণ ও কৃষি প্রণোদনা প্রদান করা হচ্ছে।